আজ বৃহস্পতিবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বন্দরে ডাকাত গাদুসহ দলের ৭ সদস্য গ্রেফতার

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মদনপুর এলাকা থেকে গাদু বাহিনীর প্রধান মো. মহব্বত হোসেন গাদুসহ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সাত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৩।

রোববার ভোরে অভিযান চালিয়ে বিদেশী পিস্তল ও বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্রসহ তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। র‌্যাব-৩ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বীনা রানী দাস স্বাক্ষরিত এক ই-মেইল বার্তায় এসব তথ্য জানান হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলো, মো. মহব্বত হোসেন গাদু (৪০), মো. জাহাঙ্গীর (৩৫), মো. স্বরন খান (১৯), মো. কাউছার হামিদ (২১), মো. নুরনবী মিয়া (২২), মো. পাপুল শেখ ওরফে মহির উদ্দিন (২২) ও শ্রী সুজন চন্দ্র সরকার ওরফে সুজল (১৯)।

গ্রেফতারের সময় ১টি বিদেশি পিস্তল, ১টি ম্যাগাজিন, ২ রাউন্ড গুলি, ১টি ওয়ান শুটারগান, ২টি টর্চলাইট, ১টি চাপাতি, ২টি রামদা, ১টি করাত, ২টি ছুরি, ১টি হাতুরি, ১টি দা, ১টি চেইন, ১টি প্লাস, ১টি রড ও ১ টি রশি উদ্ধার করা হয়। গাদু বাহিনী বিগত ১০ বছর ধরে গাইবান্ধা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও গোপালগঞ্জ এলাকায় শতাধিক ডাকাতি সংঘটিত করেছে।

র‌্যাব-৩’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বীনা রানী দাস জানান, বন্দরের মদনপুরের কেউঢালা অলিস্পিক ইন্ডার্ষ্ট্রজি লিমিটেড সংলগ্ন উত্তর পার্শ্বে কতিপয় দুস্কৃতিকারী মারাত্মক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ডাকাতি করার প্রস্তুতি গ্রহন করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৩’র আভিযানিক দলটি রবিবার ভোর ৪টায় অভিযান পরিচালনা করে ডাকাতি প্রস্তুতির সময়ে সংঘবদ্ধ দুর্ষধ ডাকাত দল গাদু বাহিনীর মূলহোতাসহ সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি আরো জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গাদু বাহিনীর মূলহোতা মো. মহব্বত হোসেন গাদু। তার নাম অনুসারেই বাহিনীটির নামকরণ করা হয়েছে এবং দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় গৃহে ডাকাতি, সড়ক ডাকাতি, গরুবাহী ট্রাক, মালবাহী ট্রাক ও বিভিন্ন মালামালের গুদামে ডাকাতি করে আসছিল। ঘটনার দিন তারা স্থানীয় মো. মোস্তফার বাড়ীতে ডাকাতির প্রস্তুতি গ্রহন করেছিল। তাদের সদস্যরা আগে থেকেই স্থানীয় অপরাধীদের সহযোগীতায় মোস্তফার বাড়ীটি রেকি করে ও ডাকাতির পরিকল্পনা করে। কিন্তু র‌্যাবের অভিযানে তাদের ডাকাতির পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।

গাদু বাহিনী বিগত ১০ বছর ধরে গাইবান্ধা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও গোপালগঞ্জ এলাকায় শতাধিক ডাকাতি করেছে। বাহিনীর মূলহোতা মহব্বত হোসেন গাদুর বিরুদ্ধে গাইবান্ধা সদর থানায় অস্ত্র ও দস্যুতাসহ ২টি মামলা আছে। এ ঘটনায় র‌্যাব বাদী হয়ে বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।